পোষা বিড়াল কে কখনো রাস্তায় ফেলে দিবন না
একটা বিড়ালকে আপনি ঘরে এনে পুষলেন, আদর করলেন, ভালোবাসলেন। সকাল দুপুর খাওয়াইলেন। রাতে নরম সোফায় থাকতে দিলেন। শীতের রাতে কম্বল তুলে দিলেন। এরপর একটা সময় আপনার বিড়াল পালার আর ইচ্ছা হলো না।
বিড়ালটাকে আপনি বাইরে ফেলে দিয়ে আসলেন।
বিড়ালটা কি বাঁচবে? না। বিড়ালটা বাঁচবে না। বরং কিছুদিনের মধ্যেই বিড়ালটা মারা যাবে।
আপনি ভাবতেসেন, কেন? রাস্তার বিড়াল কি বেঁচে থাকে না? ঝড়, বৃষ্টির সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকে না? ডাস্টবিনের পচা খাবার খেয়ে বাঁচে না?
জ্বী, বাঁচে। রাস্তার বিড়াল এসব করেও বেঁচে থাকে, কারণ ওরা এসবে অভ্যস্ত। বাট আপনার ফেলে দেওয়া বিড়ালটা এসবে অভ্যস্ত না, তাই সে বাঁচবে না। আপনি তাকে তার জগত থেকে তুলে এনে আপনার জগতে বসাইছিলেন, তারে তার লাইফ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিজের উপর ডিপেনডেন্ট করে নিয়েছিলেন।
ফলে সে বাইরের জগত ভুলে গিয়েছিলো। ডাস্টবিনের খাবার খাওয়া ভুলে গিয়েছিলো। নরম সোফায় ঘুমাইতে ঘুমাইতে সে শক্ত ইটে বা ঝোপের মধ্যে ঘুমানোর অভ্যাসটাও তার আর মনে ছিলো না।
এরপর যখন সে তার জীবনের সবকিছু ছেড়েছুড়ে আপনার সাথে, আপনার বানানো পরিবেশে বাস করতে লাগলো, আপনি তাকে ছেড়ে দিলেন।
এই ছেড়ে দেওয়াটা আপনার কাছে সাধারণ একটা ইচ্ছা।
আপনার কাছে খুব সিম্পল একটা জিনিস হলেও ঐ বিড়ালটার কাছে একটা বাঁচা মরার প্রশ্ন হয়ে গেল। বাকি পৃথিবীর কাছে যাই হোক না কেন, ঐ বিড়ালটার জন্য আপনি একজন মার্ডারার ছাড়া আর কিছু নন
শুধুমাত্র যারা প্রপার টেক কেয়ার করতে পারবেন তারা নক দিবেন।
বয়স ১.৫ মাস
বিড়ালগুলো ভাত , সিদ্ধ মাংস, মাছ এবং ক্যাট ফুড খায়
ওরা খুব সুন্দর এবং চঞ্চল। সম্পুর্ন সুস্থ।