জৈব সার (ঝর ঝরে) ভার্মি কম্পোস্ট
পোস্ট করা হয়েছে ১২ জানু ৫:৪৭ পিএম, কাচারি বাজার, রংপুরজৈব সার মাটির গুণ রক্ষা করে
আপনার বাগান ও বসতবাড়ীর গাছের পরিচর্যায় ব্যবহার করতে পারেন।
যুগের পরিবর্তনে জৈব সারের পাশাপাশি এসেছে রাসায়নিক সার কিন্তু জৈবকৃষির মাধ্যমে মাটির গুনাগুন যেমন ভালো থাকে, এর মাধ্যমে উৎপন্ন শাক-সবজি পুষ্টিকর ও সু-স্বাদু হয়। তাই মাটির গুনাগুন রক্ষার জন্য জৈব সার বেশী ভালো এমনটিই বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা৷
এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. এম এ হাশেম জানান-
১। মাটির জন্য জৈব সার বেশী ভালো, কারণ এতে মাটির অম্লতা দূর হয়।
২। মাটির নিরপেক্ষতা বজায় থাকে৷
৩। ফলনের জন্য রাসায়নিক সার ভালো হলেও জৈব সারে মাটির গুনাগুণ অক্ষুন্ন থাকে৷
৪। একই জমিতে বারবার রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হলে মাটির গঠন নষ্ট হয়ে যায়৷ কারণ অনবরত রাসায়নিক সারের ব্যবহারের কারণে মাটির উপকারী অনুজীবগুলো নষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু এই উপকারী অনুজীবগুলোই উন্নত ফসল উৎপাদনে সাহায্য করে। ৫। কয়েকবার রাসায়নিক সার ব্যবহারের পর একই জমিতে জৈব সার ব্যবহার করা উচিত।
একই জমিতে বারবার রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হলে মাটির গঠন নষ্ট হয়ে যায়৷ কারণ অনবরত রাসায়নিক সারের ব্যবহারের কারণে মাটির উপকারী অনুজীবগুলো নষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু এই উপকারী অনুজীবগুলোই উন্নত ফসল উৎপাদনে সাহায্য করে।
জৈব সার তৈরি করা যায় বিভিন্ন উপায়ে। তবে এরমধ্যে সবচেয়ে উন্নত জাতের জৈব সার পাওয়া যায় ভার্মিকম্পোস্টিং প্রক্রিয়ায় (শতভাগ প্রাকৃতিক উপায়)। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি এই জৈব সারে গাছের অত্যাবশ্যকীয় ১৬টি খাদ্য উপাদানের ১০টিই বিদ্যমান। গবেষণায় দেখা গেছে, আদর্শ ভার্মিকম্পোস্টে -
জৈব পদার্থ ২৮.৩২%, নাইট্রোজেন ১.৫৭%, ফসফরাস ১.২৬%, পটাসিয়াম ২.৬০%, ক্যালসিয়াম ২%, ম্যাগনেসিয়াম ০.৬৬%, সালফার ০.৭৪%, বোরন ০.০৬%, আয়রন ৯৭৫ পিপিএম, ম্যাঙ্গানিজ ৭১২ পিপিএম, জিঙ্ক ৪০০ পিপিএম এবং কপার ২০ পিপিএম রয়েছে।