এই প্রোডাক্টটি হোম ডেলিভারি হবে না।
এ জে আর কুরিয়ার অথবা মেট্রো এক্সপ্রেস এই দুটি কুরিয়ার অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
৫ লিটার এর প্যাকেজ মূল্য দেওয়া আছে।
কেউ বেশি নিতে চাইলে ১০,১৫,২০ এভাবে অর্ডার করবেন। সেক্ষেত্রে ডেলিভারিতে কিছুটা বেশি হবে।
ঘানি ভাঙা সরিষার তেল এর উপকারিতা
সরিষার তেলের বিস্তৃত উপকারিতার জন্য এর প্রচলন শুধু রান্নায় ও ব্যবহারেই নয়, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে চিকিৎসায়ও রয়েছে। তাই যারা এর সঠিক গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা রাখেন, তারা এখনও নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করে চলেছেন। আর যারা এই তেলের গুণাগুণ সম্পর্কে তেমন একটা জানেন না, তাদের জন্য সরিষার তেলের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা নিচে তুলে ধরা হলঃ
১।রান্না হয় স্বাস্থ্যকর
সরিষার তেলের রান্নায় যেমন স্বাদ বেশী হয় তেমনি রান্নাকৃত খাদ্যের পুষ্টিমান থাকে অক্ষুন্ন।সয়াবিন,সানফ্লাওয়ার কিংবা রাইসব্রান ওয়েল এর তুলনায় সরিষার তেলের রান্না অনেক স্বাস্থ্যসম্মত।কোল্ডপ্রেস সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আস।
২। ত্বক উজ্জ্বল করে
সরিষার তেল ত্বকের কালচে ভাব দূর করে প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করতে পারে। এ জন্য বেসন, দই, সরিষার তেল ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানান। আপনার ত্বকে এই পেস্টটি প্রায় ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার এভাবে ব্যবহার করলেই আপনার ত্বকে ভিন্নতা ও উজ্জ্বলতা লক্ষ্য করতে পারবেন।
৩। প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন
সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই থাকে। যা গায়ে মাখলে ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে সুরক্ষিত থাকে। এই ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকে ক্যানসার হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। যা প্রতিরোধে সরিষার তেল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ভিটামিন ই বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করে তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে করে। তাই আপনার ত্বকের যত্নে সানস্ক্রিন লোশনের মতোই ব্যবহার করতে পারেন এই সরিষার তেল।
৪। চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে
সাধারণত চুলের যত্নে আমরা নারিকেল তেল বা জলপাই তেলের ব্যবহারটাই বেশি দেখি। কিন্তু চুলের সুস্বাস্থ্য বজায়ে সরিষার তেলের ভূমিকাও কম নয়। সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে যা চুলের বৃদ্ধিতে ব্যাপক সহায়তা করে। নিয়মিত মাথার তালুতে সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে অকালে চুল সাদা হওয়া ও চুল পড়া বন্ধ হয়। এছাড়া সরিষার তেলে থাকা উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন চুলের গোঁড়া মজবুত করে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে। সরিষার তেলে আরও বিদ্যমান আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়াম চুলের বৃদ্ধির পাশাপাশি চুল কালো করতেও অত্যন্ত কার্যকরী।
ভেজালমুক্ত ঘানিভাঙ্গা সরিষার তেল।
৫। উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে
সরিষার তেল পরিপাক তন্ত্র, রক্ত সংবহন তন্ত্র ও রেচন তন্ত্রের শক্তিশালী উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এটি নিয়মিত শরীরে মালিশ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ত্বরান্বিত হয়। যা শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না এবং শরীরের সারা দিনের ক্লান্তি ভরা পেশিগুলো উজ্জীবিত এবং সবল রাখে। এছাড়া এটি পরিপাক তন্ত্রে ক্ষুধা সৃষ্টি করে খাবারের রুচি বাড়ায়।
৬। ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে
সরিষার তেলে গ্লুকোসিনোলেট নামক ক্যানসার বিরোধী উপাদান থাকে যা ক্যানসারজনিত টিউমারের গঠন প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট কোলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল শরীরকে ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দেয় ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৭। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
সরিষার তেলে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে তোলে। তাই যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা খাবারে পরিমাণ মত সরিষার তেল ব্যবহার করে খেতে পারেন। এতে হার্ট ভাল থাকবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।
৮। ব্যথা দূর করে
অনেকেই আছেন যারা জয়েন্টের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস রোগসহ নানা কারণে ব্যথায় জর্জরিত হয়ে থাকেন। ব্যথা দূর করতে পেইনকিলার নিতে হয় যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তারা সরিষার তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কারণ এতে এমন উপাদান রয়েছে যা প্রদাহজনিত উৎসেচকের ক্রিয়ার গতি কমিয়ে তোলে। ফলে ব্যথার থেকে আরাম পাওয়া যায়।
এসকল ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পেতে সরিষার তেলে পরিমাণমতো কর্পূর মেশান। চুলার তাপে বা রোদে তেল হালকা গরম করে ঠান্ডা করে নিন। এবার সেই তেল দিয়ে ব্যথার স্থানে মালিশ করুন। দেখবেন দ্রুতই ব্যথা নিরাময় হবে এবং আরাম পাবেন।
৯। ঠান্ডা লাগা দূর করে
ঠান্ডা লাগার কারণে আমরা সচরাচর ডাক্তার দেখাই না। এক্ষেত্রে বুকে কফ জমা স্থানে সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করলে বুকের কফ দূর হয়ে যাবে। অনেকের আবার ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে বন্ধ নাক খোলার জন্য এক বাটি পানিতে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল ফেলুন। এবার পানি একটু গরম করে ভাপ নিন। দেখবেন বন্ধ নাক খুলে গেছে শ্বাস প্রশ্বাস সচল রাখবে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বুকে বা পায়ের তলায় সরিষার তেল দিয়ে এই মালিশ খুবই উপকারী ও ফলপ্রসূ।
সতর্কতা
সরিষার তেল ব্যবহারে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে ত্বক ও স্বাস্থ্যের সঠিক যত্নের জন্য খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী। সরিষার তেল থেকে যথাযথ উপকার পেতে বাজারের নকল বা ভেজাল সরিষার তেল ব্যবহারের দিক দিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায়
খাঁটি সরিষার তেল বলতে সাধারণত ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেলকেই বোঝায়। যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে কাঠের ঘানি দ্বারা সরিষা পিষ্ট করে বের করা হয়। এই দেশীয় পদ্ধতিতে নিঃসরণকৃত সরিষার তেলে ঝাঁজ হয় খুবই কম কিন্তু সুঘ্রাণ হয় তীব্র। অপরদিকে, ইলেকট্রিক কলে পিষ্ট হয়ে ও অনেকটা পুড়ে যে সরিষার তেল বের হয়, সেই তেলই বাজারে বেশি পাওয়া যায়। যার সুঘ্রাণ তীব্র না হলেও ঝাঁজ থাকে অনেক বেশি। তাই খাঁটি তেলের স্বাদ ও উপকার পেতে ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল ব্যবহার করুন।
- কখনই ব্যাংকিং কার্ড এর তথ্য কিংবা ওটিপি শেয়ার করবেন না , পেমেন্ট করার পূর্বে সবসময় পণ্যটি যাচাই করে নিন। Bikroy ডেলিভারি সার্ভিস প্রোভাইড করে না। সর্বদা সতর্ক থাকুন।
- কখনই ব্যাংকিং কার্ড এর তথ্য কিংবা ওটিপি শেয়ার করবেন না , পেমেন্ট করার পূর্বে সবসময় পণ্যটি যাচাই করে নিন। Bikroy ডেলিভারি সার্ভিস প্রোভাইড করে না। সর্বদা সতর্ক থাকুন।