গ্রাম কিংবা শহরের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই একসময় ব্যবহার করা হতো মাটির থালা, গ্লাস, কলস, পানির জগ ও মগ, মাটির হাঁড়ি ইত্যাদি।
তাপমাত্রার ওপর ভিত্তি করে পোড়ামাটির এসব বাসন দুই ধরনের হয়। কিছু পাত্র উচ্চ তাপমাত্রায় তৈরি করা হয়। এগুলো সরাসরি রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। আবার কিছু পাত্র তুলনামূলক নিম্ন তাপমাত্রায় তৈরি হয়। এগুলো খাবার পরিবেশনে ও পানি সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়। যেমন বাসন, ঘটি, বাটি ইত্যাদি।
আবার পাত্রের গায়ের প্রলেপের ওপর ভিত্তি করে দুই ধরনের বাসনকোসন পাওয়া যায়। কিছু পাত্র চকচকে প্রলেপযুক্ত। এই প্রলেপ পোড়ামাটির ছিদ্রযুক্ত পৃষ্ঠকে সিল করে দেয়। চকচকে ও মসৃণ হওয়ায় ব্যবহারের আগে এটি ‘সিজনিং’ করতে হয় না। এগুলো সমানভাবে তাপ শোষণ করে, পরিষ্কার করাও সহজ। আরেক ধরনের পোড়ামাটির পাত্র আছে, যার পৃষ্ঠদেশ চকচকে নয় অর্থাৎ আনগ্লেজড। স্বাস্থ্যসচেতন ক্রেতাদের মধ্যে বর্তমানে আনগ্লেজড পোড়ামাটির পাত্রের চাহিদা বাড়ছে। কারণ, এ ধরনের পাত্রে মাটির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে।