তিলের তেল
তিলের তেলের উপকারিতা জানেন?চলুন জেনে নেই এই তেলের উপকারিতার সম্পর্কে!
তিলের বীজ থেকে তিলের তেল বের করা হয়। তিলের বীজে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন ই, বি কমপ্লেক্স ভিটামিন এবং ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ দিয়ে ভরা থাক ভোজ্যতেলগুলোর মধ্যে একটি। এই তেলটি কেবল রান্নার জন্যই নয়, চিকিৎসার জন্যও ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদিক ওষুধে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হয়। পুষ্টি উপাদানগুলোর কারণে এটি ‘তেলের রানি’ হিসেবে পরিচিত।
তিলের তেল ব্যবহারের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে কিছু কথা—
১. রক্তচাপ হ্রাস করে : তিলের তেল অন্যান্য রান্নার তেলের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এটি রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
২. ব্লাড সুগার কমায় : এই তেলে আছে ম্যাগনেসিয়াম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও তিলের তেলে ভিটামিন ই রয়েছে এবং এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর সমৃদ্ধ উৎস, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন গবেষণায়, ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় তিল তেল অন্তর্ভুক্ত করার কথাও প্রকাশ পেয়েছে।
৩. ত্বকের উপকারিতা : তিলের বীজের ব্যবহার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে, মসৃণ রাখে এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করে। এই তেলটি বেশ কয়েকটি ত্বকের ব্যাধি নিরাময়েও ব্যবহৃত হয় এবং এটি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বক এই তেল তাড়াতাড়ি শোষণ করে, পুষ্ট করে এবং শুষ্কতা, ফাটল থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
৪. হাড় সুস্থ রাখে : তিলের তেলে ক্যালসিয়াম থাকে যা আমাদের হাড়কে শক্ত রাখে। এতে, তামা, দস্তা এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক। এই তেল গভীরে প্রবেশ করে এবং হাড়কে শক্তিশালী করে। এ ছাড়াও অস্টিওপোরোসিস রোধ করে এবং হাড়ের সমস্যাজনিত বিভিন্ন ধরনের ব্যথার নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
৫. দাঁতের সমস্যা কমায় : তিলের তেল মৌখিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ‘অয়েল-পুলিং’ নামক দাঁতের পরিচর্যার এক বিশেষ পদ্ধতিতে বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই তেল। মুখগহ্বর ও ক্ষুদ্রান্ত্র পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি দাঁত ঝকঝকে করতেও তিলের তেল অত্যন্ত উপকারি।
৬. হার্ট ভালো রাখে : তিলের তেলে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা হার্ট ভালো রাখে। তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডগুলো— সেসামল এবং সিসামিন, কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখতে সহায়তা করে।
৭. চুল ভালো রাখে : এই তেল মাথার ত্বক এবং চুলে পুষ্টি জোগায়। এটি চুলকে ক্ষতিকারক ইউ ভি রশ্মি এবং দূষণ থেকে রক্ষা করে। তিলের তেল দিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করলে তা রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি করে এবং চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
৮. মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়তা করে : এটি মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মাত্রা মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে। তিলের তেলে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক অস্বস্তি ও দুশ্চিন্তা দূর করে।
- কখনই ব্যাংকিং কার্ড এর তথ্য কিংবা ওটিপি শেয়ার করবেন না , পেমেন্ট করার পূর্বে সবসময় পণ্যটি যাচাই করে নিন। Bikroy ডেলিভারি সার্ভিস প্রোভাইড করে না। সর্বদা সতর্ক থাকুন।
- কখনই ব্যাংকিং কার্ড এর তথ্য কিংবা ওটিপি শেয়ার করবেন না , পেমেন্ট করার পূর্বে সবসময় পণ্যটি যাচাই করে নিন। Bikroy ডেলিভারি সার্ভিস প্রোভাইড করে না। সর্বদা সতর্ক থাকুন।