আমাদের পরিচিতি : খাদিজা ট্রেডিং কর্পোরেশন, বাংলাদেশের একটি বহুজাতিক আমদানি-রপ্তানিকারক কোম্পানি।
২০১৯ সালে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা পণ্য আমদানি করে আসছি। তুরস্ক থেকে ত্বীন ফল দিয়ে যাত্রা শুরু, এরপর জয়তুন তেল, চেরি ফল, মালবেরি, এপ্রিকট, কিসমিচ তুরস্ক থেকে আমদানি করিতেছি, এবং ধারাবাহিকভাবে চায়না থেকে সি এন সি রাউটার মেশিন, মালয়েশিয়া থেকে সুইমিং পুলের ফিল্টার, মটার ও বিভিন্ন ধরনের ফিটিং আমদানি করে থাকি, ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের মেশিনারিজ, ভুট্টার বীজ, ট্রেডিং আইটেম, ড্রাই ফ্রুটস, জুস, বিভিন্ন শাক-সবজির বীজ, এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আলুর বীজ এবং তরমুজের বীজ আমদানি করেছি
সম্প্রতি ফ্রান্সে এবং ইংল্যান্ডে আমাদের রপ্তানি কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন।
আমাদের আমদানি প্রক্রিয়া এবং পণ্য বাজারজাত করার ধাপসমূহ :
১/ যখন আমরা কোন নির্দিষ্ট পণ্য আমদানি করতে চাই, তখন শুরুতেই বাংলাদেশে ওই পণ্যের চাহিদা, মূল্য, বাজারজাতকরণের চ্যালেঞ্জ, ঝুঁকি, লাভলোকসান নিয়ে বিভিন্ন পাইকারি মার্কেট ভিজিট করি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলি, কোন অগ্রিম অর্ডার থাকলে সেটা নোট করি।
২/ এরপর পণ্যের এক্সপোর্টার কান্ট্রি সিলেক্ট করে এক্সপোর্টার খোঁজা শুরু করি, এর মধ্যে যার সাথে আলাপ আলোচনা ফলপ্রসূ হয় এবং দর দামে সমতা পাই, এবং সে যদি আমাদের অপরিচিত কোন এক্সপোর্টার হয়, তখন তার সম্বন্ধে নানা মাধ্যমে খোঁজ নেই। তার বিজনেস হিস্টোরি চেক করি, ওই দেশে পরিচিত কেউ থাকলে তাকে পাঠাই। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোও আমাদের হেল্প করে। নির্দিষ্ট ফি নিয়ে তারা ওই এক্সপোর্টারের একটা ডিএনবি রিপোর্ট আমাদের কাছে পেশ করে। তবে সাধারণত প্রথমবার আমরা নিজেরাই স্ব শরীরে যাই। সম্প্রতি মিশর থেকে খেজুর আমদানি করতে আমরা স্ব শরীরেই গিয়েছি, এবং ইন্ডিয়ার ভুট্টার বীজ কম্পানিতে গিয়ে দেখে কোম্পানি এবং ফ্যাক্টরিগুলো একাধিকবার ভিজিট করেছি। এক্সপোর্টার এবং স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটরদের সাথে দফায় দফায় মিটিং করেছি, এবং সফলও হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
৩/ এরপর আসে পণ্যের মান এবং দাম। প্রায় প্রতিটি পণ্যেরই দু'তিনটা গ্রেড থাকে, এক্সপোর্টারের সাথে মান এবং দাম নিয়ে নেগোসিয়েশনের পর পেমেন্ট টার্ম নিয়ে আলোচনা হয়। পেমেন্ট নিয়ে সবসময়ই আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করি। যদি এডভান্স টিটি পাঠাতে হয়, বা ব্যাংক এলসি ছাড়া অন্য মাধ্যমে লেনদেন করতে হয়, তখন আমরা যাচাই-বাছাই করে, সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়েই সেটা করি।
৪/ পণ্য যখন শিপমেন্ট হয়, এখানে সিএন্ডএফকে জানাই। সিএন্ডএফ ওই পণ্যের ট্যাক্স এবং আনুষাঙ্গিক খরচের একটা হিসাব পেশ করে। প্রোডাক্ট যখন পোর্টে আসে, তখন অগ্রিম অর্ডারকারীদের ডাকাই, সাথে সাথে এ ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদেরকেও অবগত করি। কিছু পণ্য আগে থেকেই সোল্ড আউট থাকে, কিছু পণ্যের মার্কেটিং করতে হয়, আবার কিছু পণ্য ফরওয়ার্ডিং সেল হয়, কিছু পণ্য পোর্ট থেকে হ্যান্ড বাই হ্যান্ড সেল হয়ে যায়। কিছু পণ্য কোল্ড স্টোরেজ বা নরমাল স্টোরে রেখেও ধীরে ধীরে বিক্রি করি। আমরা যেসব পণ্য নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ করেছি, তাতে আমরা মোটামুটি সফল বলা যায় আলহামদুলিল্লাহ।
ঠিকানা : ৩৪, নুরজাহান শরিফ প্লাজা ( ৫ম তলা ), পুরানা পল্টন, ঢাকা -১০০০, বাংলাদেশ
যোগাযোগ :
