খেজুরের গুড়

আসসাামুআলাইকুম,

সম্মানিত গ্রাহক রাজশাহীর খাঁটি এবং প্রিমিয়াম কোয়ালিটির খেজুর গুড় পাচ্ছেন ১০০ টাকা ডিসকাউন্ট এ এখন ৩৫০ টাকা কেজিতে।

খেজুরের গুড় খাঁটি না ভেজাল তা চেনার উপায় এবং উপকারিতা কি?

খাঁটি খেজুরের গুড় চেনার সহজ কৌশল:

১. রঙের ভিন্নতা দেখুন:

খাঁটি গুড় সাধারণত গাঢ় বাদামি বা লালচে বাদামি হয়।

অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো হলে রং খুব উজ্জ্বল বা অস্বাভাবিক ফ্যাকাশে হতে পারে।

২. ঘ্রাণের পরীক্ষা করুন:

খাঁটি গুড়ে খেজুর রসের স্বাভাবিক মিষ্টি ঘ্রাণ থাকবে।

ভেজালে রাসায়নিকের কারণে গন্ধ কম বা অস্বাভাবিক হয়।

৩. স্বাদের পার্থক্য বুঝুন:

খাঁটি গুড়ে প্রাকৃতিক মিষ্টি স্বাদ থাকে।

ভেজালে অতিরিক্ত চিনি বা কৃত্রিম মিষ্টি স্বাদের ঝাঁঝ অনুভূত হয়।

গঠন পরীক্ষা করুন:

খাঁটি গুড় মসৃণ, নরম ও সামান্য চিটচিটে হয়।

ভেজাল গুড় দানাদার বা অতিরিক্ত শক্ত হতে পারে।

পানি পরীক্ষার কৌশল:

এক টুকরো গুড় এক গ্লাস পানিতে ফেলুন।

খাঁটি গুড় নিচে ডুবে যাবে এবং ধীরে ধীরে গলে যাবে।

ভেজাল গুড় তাড়াতাড়ি মিশে গিয়ে তলানিতে সাদা পদার্থ রেখে যেতে পারে।

গরম করার সময় ফেনা দেখা:

খাঁটি গুড় গরম করলে অল্প ফেনা হয়।

ভেজাল গুড়ে অতিরিক্ত ফেনা দেখা যায়।

শীতকালে গলন পরীক্ষা:

খাঁটি গুড় ঠান্ডায় শক্ত হয়, কিন্তু নরম থাকবে।

রাসায়নিক মিশ্রণে এটি খুব শক্ত বা ঝুরঝুরে হতে পারে।

খেজুরের গুড় কেন খাওয়া উচিত: অবিশ্বাস্য উপকারিতা

১. প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার:

গুড়ে থাকা প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট শরীরকে দ্রুত শক্তি দেয়।

এটি খেলোয়াড়দের জন্য এবং দৈনন্দিন কাজের পরিশ্রমে উপকারী।

২. রক্তশূন্যতা দূর করে:

এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে।

নারীদের মাসিক চলাকালীন আয়রনের ঘাটতি পূরণে এটি দারুণ কার্যকর।

৩. হজমশক্তি বাড়ায়:

গুড়ে থাকা আঁশ অন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

এটি খাবার পর খেলে হজম প্রক্রিয়া দ্রুততর হয়।

৪. লিভার পরিষ্কার রাখে:

গুড় প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে।

এটি লিভার থেকে টক্সিন বের করতে সহায়ক।

৫. শ্বাসতন্ত্রের সুরক্ষা:

শীতকালে কাশি, সর্দি ও কফ দূর করতে সাহায্য করে।

নিয়মিত খেলে শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কার থাকে।

৬. হাড় মজবুত করে:

গুড়ে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, যা হাড়ের গঠন উন্নত করে এবং শক্তি বৃদ্ধি করে।

৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ:

চিনি থেকে ভালো বিকল্প হওয়ায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

প্রাকৃতিক শর্করা মেটাবলিজম ঠিক রাখতে কার্যকর।

৮. ত্বক উজ্জ্বল করে:

গুড়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং মিনারেল ত্বকের বলিরেখা কমায় এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৯. ঠান্ডার জন্য আদর্শ খাবার:

শীতকালে শরীর গরম রাখতে খেজুরের গুড়ের তুলনা নেই।

১০. মানসিক চাপ কমায়:

গুড়ে থাকা সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম মানসিক চাপ কমিয়ে মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।

খেজুরের গুড় কেনা ও সংরক্ষণের টিপস:

বিশ্বস্ত উৎপাদক বা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে গুড় সংগ্রহ করুন।

গুড় শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন, যাতে এটি সহজে আর্দ্র না হয়।

নকল গুড় থেকে বাঁচতে ঘরে প্রস্তুত প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানুন।

খাঁটি খেজুরের গুড় শুধু স্বাদের নয়, স্বাস্থ্যগুণেও অতুলনীয়। এটি আমাদের প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের একটি অংশ, যা শরীর এবং মনের জন্য উপকারী। নিয়মিত সঠিক পদ্ধতিতে খেলে আপনি এর পূর্ণ উপকারিতা উপভোগ করতে পারবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

ক্যাশ অন হোমে ডেলিভারি ( সাড়া বাংলাদেশ )

অর্ডার করতে আপনার নাম, ফুল ঠিকানা ও যোগাযোগ নাম্বার আমাদেরকে ইনবক্স করুন অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন