গাছের বৃদ্ধি, পুষ্টি ও অধিক ফলনের জন্য ১৬টি খাদ্য উপাদানের মধ্যে ৮টি অপরিহার্য উপাদান নিয়ে সমৃদ্ধ হচ্ছে মিরাকেল গ্রোথ- যা জমির উর্বরতা বাড়ানোর পাশাপাশি অধিক ফলনে সাহায্য করে । ইউরিয়া, ফসফেট ও পটাশ ব্যাপক হারে জমিতে ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে সত্য কিন্তু ফসলের অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান সরবরাহ না থাকায় মাটিতে গাছের এই অনুখাদ্যের অভাব পূরন করার জন্যই মিরাকেল গ্রোথ । স্বাভাবিক সার ব্যবহারের পাশাপাশি স্বল্প মাত্রায় নিয়মিত মিরাকেল গ্রোথ জমিতে ব্যবহার করলে ফসলের আশানুরূপ ফলন নিশ্চিত করা যায় ।
কার্যকারীতাঃ
✓ দ্রুত গাছের শিকড় গঠনে ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ।
✓ গাছের পাতায় সবুজ কণিকা সৃষ্টি ও ক্লোরোফিল রক্ষায় সাহায্য করে।
✓ ফুল ফোটানো ও ফল গঠনে সাহায্য করে ।
✓ ফুল ও কুঁড়ি ঝড়ে যাওয়া রোধ করে ।
✓ হরমোনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয় ।
✓ মাটি থেকে বিষাক্ত দ্রব্যাদি গ্রহণে গাছকে বিরত রাখে ।
✓ মাটির উর্বরতা বাড়িয়ে অধিক ফলনে সাহায্য করে ।
✓ বীজ হতে পরিপূর্ণভাবে অঙ্কুরোধগমে সাহায্য করে ।
উপাদান সমূহঃ
১ । দস্তা
২ । সালফার
৩ । ক্যালসিয়াম
৪ । ম্যাগনেসিয়াম
৫ । বোরন
৬ । লৌহ
৭ । কপার
৮ । অন্যান্য
প্রয়োগের মাত্রাঃ
রবিশষ্যের জন্য ২০ শতাংশে ১ কেজি ধানের জমির জন্য ৩০ শতাংশে ১ কেজি আলু ক্ষেতের জন্য ৩০ শতাংশে ৪ কেজি স্থায়ী বা বড় গাছের প্রতিটির জন্য ১ কেজি।
প্রয়োগের ক্ষেত্র:
ধান, আলু, পাট, গম, ভুট্টা, লেবু, আঁখ, পিয়াজ, সরিষা, মরিচ সহ সকল প্রকার ফসল এবং বেগুন, করলা, লাউ, পটল, ঢেঁড়শ, পুঁইশাক জাতীয় সকল প্রকার শাক-সবজিতে মিরাকেল গ্রোথ ব্যবহার করে অধিক ফলন পাওয়া যায়। এছাড়া কলা, আম, কাঠাল, তরমুজ সহ সকল ধরণের ফল গাছে ও গোলাপ, সূর্যমুখী, রজনীগন্ধা সহ সকল প্রকার ফুল গাছে প্রয়োগ করে ভালো ফল পাওয়া যায়।
প্রয়োগের সময়:
জমি তৈরী করার সময় অথবা ফসলের চারা লাগানোর আগে ও পরে। প্রয়োগের মাত্রা: ১ কেজি প্রতি বিঘায় বা ৩ কেজি প্রতি একরে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আরো বিস্তারিত জানার জন্য নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপ করুন।
