অপরাজিতা ফুলের চায়ে রেচক বৈশিষ্ট্য আছে। অর্থাৎ এটি খাবার হজমে সাহায্য করতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যথেকে দূরে রাখে।
এই চা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে বলে দাবি করছে একটি গবেষণা। ফলে ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য ভীষণ উপকারী অপরাজিতা ফুলের চা।
অপরাজিতা ফুলের চায়ে অ্যান্থোসায়ানিনস, প্রোনথোসায়ানিডিনস এবং কোয়ার্সেটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
নীল চা হাইপারলিপিডেমিয়া বা রক্তে অত্যধিক চর্বি জমা থেকেও রক্ষা করে।
শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে অপরাজিতা ফুলের চা।
অপরাজিতা ফুলের নির্যাস দেহের কিছু কোষের অগ্রগতিকে নিয়ন্ত্রণ করে চর্বির গঠনকে ধীর করে দিতে পারে।
হতাশা এবং উদ্বেগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়াতে পারে নীল চা।
অপরাজিতা চা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং শরীরে এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে। ফলে হার্ট অ্যাটাক, রক্ত জমাট বাঁধা এবং স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি কমে।
অ্যান্টি অক্সিডেন্টের গুণে ভরপুর অপরাজিতার চা শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
অপরাজিতা চায়ে থাকা অ্যাসিটাইলকোলাইন যৌগ স্নায়ুকে শান্ত করে ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস রোধ করে।
যেভাবে বানাবেন অপরাজিতা ফুলের চা
প্যানে ৪ কাপ পানি নিয়ে চুলায় দিন। ফুটে উঠলে দুটো এলাচ, দুই টুকরো আদা, এক টুকরো দারুচিনি ও পাঁচটি অপরাজিতা ফুল দিয়ে দিন পানিতে। ফুলের নিচের সবুজ অংশ ফেলে তারপর দেবেন। ৫ থেকে ৬ মিনিট ফুটান। এরপর চুলা বন্ধ করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ১৫ মিনিট পর কাপে ঢেলে মধু মিশিয়ে পরিবেশন করুন। লেবু মিশিয়ে নিতে পারেন খাওয়ার আগে। লেবুর রস মেশালে এই চা রঙ বদলে বেগুনি হয়ে যাবে।